দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
নারীর ক্ষমতায়ন বেড়েছে ইউরোপে। প্রথম নারী-সংখ্যাগরিষ্ঠের পার্লামেন্ট নির্বাচিত করলো আইসল্যান্ড। তবে একটি পুনঃগণনায় দেখা যাচ্ছে যে, লিঙ্গ-সমতার কারণে এটি সেই ল্যান্ডমার্ক থেকে একটু নিচেই রয়েছে।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) নারী-আধিক্যের পার্লামেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় সংক্ষিপ্তভাবে এটি উদযাপন করে দেশটি। তবে দ্বিতীয় গণনায় দেখা যায় যে চেম্বারে নারীদের চেয়ে এখনো পুরুষের সংখ্যা কিছু বেশিই রয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরইউভি এটি জানিয়েছে।
প্রাথমিক ভোট গণনায় নারী প্রার্থীরা আইসল্যান্ডের ৬৩ আসনের পার্লামেন্টে ৩৩টিতে জয় পান। এমন নির্বাচনে সাধারণত কেন্দ্র-ভিত্তিক দলগুলো বড় জয় পেয়ে থাকে।
কয়েক ঘণ্টা পরেই উত্তর-পশ্চিম আইসল্যান্ডের ভোটগণনায় ফলাফল বদলে যায়। এর আগে ২০১৬ সালে ৩০টি আসনে নারী প্রার্থীরা জয় পেয়েছিল। এটি ছিল দেশটির পার্লামেন্টে নারীদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা।
এখনো আইসল্যান্ডের এই ৪৮ ভাগ নারী আইনপ্রণেতার সংখ্যাটি ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ। মহাদেশটির সুইডেন ও ফিনল্যান্ড পার্লামেন্টে যথাক্রমে ৪৭ ও ৪৬ ভাগ নারী সদস্যের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
আন্তঃ সংসদীয় ইউনিয়নের মতে, রোয়ান্ডা তাদের পার্লামেন্টে ৬১ ভাগ নারী সদস্য নিয়ে এ ক্ষেত্রে সবার ওপরে রয়েছে। আর কিউবা, নিকারাগুয়া ও মেক্সিকোর সংসদে নারী প্রতিনিধি রয়েছেন ৫০ ভাগ বা তার ওপরে।
উত্তর আটলান্টিকের দ্বীপ আইসল্যান্ড তিন লাখ একাত্তর হাজার জনসংখ্যার একটি দেশ। গত মার্চে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)-এর রিপোর্টে দেশটি ১২ বারের মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ লিঙ্গ-সমতার দেশের স্থান লাভ করে।
‘নারীদের এই বিজয় এবারের নির্বাচনের বড় গল্প’ ভোট গণনা শেষে আরইউভিকে বলেছেন রাজনীতির অধ্যাপক ওলাফুর হার্ডারসন।
আইসল্যান্ডের ভোটিং ব্যবস্থা ছয়টি অঞ্চলে বিভক্ত। পশ্চিম আইসল্যান্ডে উত্তর-পশ্চিম নির্বাচনী এলাকায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর গণনার কাজ সম্পন্ন করা হয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান ইঙ্গি ট্রাইগভাসন।
এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমরা ভোট পুনঃগণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ অনুরোধ করেনি।’
#সূত্র : আলজাজিরা