দূরবীণনিউজ ডেস্ক : ছবি : সংগৃহীত
ভারতের আসাম রাজ্যে তথাকথিত ‘গো-সুরক্ষায়’ এ বর নতুন বিল পেশ হলো রাজ্য বিধানসভায়। এতে মন্দির চত্বরের ৫ কিলোমিটারর মধ্যে গরুর গোশত, এবং গরুর গোশতজাত পণ্য কেনাবেচা নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, হিন্দু, জৈন, শিখ ও গরুর গোশত না-খাওয়া সম্প্রদায়ের বাস যে এলাকায়, সেখানেও এই নিষেধাজ্ঞা চালুর প্রস্তাব রয়েছে ওই বিলে।
আসাম গো-সুরক্ষা বিল ২০২১ নামের ওই বিল সোমবার বিধানসভায় পেশ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাতে ‘গোহত্যা’, ‘গোমাংস ভক্ষণ’ এবং বেআইনিভাবে গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। ভারতের একাধিক রাজ্যে গোহত্যা রোখার আইন থাকলেও, কোন কোন জায়গায় গরুর গোশতের দোকান থাকা চলবে না, এমন নির্দেশিকা এই প্রথম।
এ প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাইলে আসাম বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া জানান, বিলটিতে অনেক সমস্যা রয়েছে।তাই আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছেন তারা।
দেবব্রত বলেন, ‘৫ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর গোশত নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই ৫ কিলোমিটার কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে? যেখানে ইচ্ছে পাথর ফেলে মন্দির বানিয়ে ফেলতে পারে যে কেউ। গোটা বিষয়টাই সন্দেহজনক। এর ফলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়বে বই কমবে না।’
বিজেপিতে যোগ দেয়া নতুনদের বড় দায়িত্বে নয়, নড্ডার কাছে আর্জি দিলীপের বিলটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনুল ইসলামও।
তার বক্তব্য, ‘গো-সুরক্ষায় এই বিল আনা হয়নি। মুসলমানদের আবেগে আঘাত করাই বিলটির লক্ষ্য, যাতে আরো বিভাজন তৈরি হয়। আমরা এই বিলের বিরোধিতা করছি। সংশোধন করতে আর্জি জানাব।’
রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে যেমন নির্দিষ্ট করে গাভী হত্যা নিষিদ্ধ রয়েছে, ‘গো-সুরক্ষা’ আইনে মোষকে বাইরে রাখা হয়েছে, আসাম সরকারের নয়া বিলে সে রকম নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই।
এর আগে, আসামে ১৪ বছরের বেশি বয়সী গরুদের জবাই করতে কোনো বাধা ছিল না আসামে। কিন্তু ১৯৫০-এর ওই আইন গো-সুরক্ষায় যথেষ্ট নয় বলে মত হিমন্তর।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা