বিশেষ প্রতিনিধি, দূরবীণ নিউজ :
আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বিশেষ ক্ষমতা আইন জারি করে বিনা বিচারে আটকের মঞ্চ করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে “বহুদলীয় গণতন্ত্র ও জাতীর আত্মমর্যাদার প্রতিক জিয়া” এবং “কেন একজন তারেক রহমানের প্রয়োজন” শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি দলের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই আওয়ামীলীগ সরকার ১৯৭২সালে বিশেষ ক্ষমতা আইন জারি করে বিনা বিচারে আটকের মঞ্চ করেন। তারপর সংবিধানে জরুরি অবস্থার বিধান পূর্ণ করা হলো এবং মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হলো। তারপর দেশের সব দল বাতিল করে, একদলীয় শাসন কায়েম করে গণতন্ত্রকে জবাই করা হল।
তিনি বলেন, সে অবস্থাতেও যখন সংবাদপত্র/ সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে মানুষের কষ্ট প্রকাশিত হচ্ছে, তখনই কালো আইন করে চারটি সংবাদমাধ্যম রেখে বাকি সব সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করে দেয়া হলো। তিনি বলেন, ১৬ ই জুন থেকে বাংলাদেশে মাত্র চারটি সংবাদপত্র সরকারি মালিকানায় প্রকাশিত হয়েছে। আর কোন পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশটা হলো জনগণের, মানুষের। সেই জনগণ/মানুষকে যারা বঞ্চিত করে, তখন তাদের কেউ ভালোবাসে না। এমনকি আল্লাহও ভালোবাসো না। এগুলো ঐতিহাসিক বাস্তবতা।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার শাহাদাত বরণের পর জানাযায় যে লোক হয়েছে এবং মানুষ যেমন অশ্রু ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে তাকে শেষ বিদায় জানিয়েছে এমন দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল। জিয়াউর রহমান ও গণতন্ত্র এক ও অভিন্ন। সাথে একাকার ছিলেন এবং বাংলাদেশের আত্ম মর্যাদার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
এসময় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ১৬ ই জুন ১৯৭৫ সালে সংবাদপত্রের কালো দিন হিসেবে এই দিনটিকে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কারণ ১৯৭৫ সালে বাকশালকে পাকাপোক্ত করার জন্য তৎকালীন বাকশালী সরকার যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল, একদলীয় রাষ্ট্র কায়েম করেছিল, তারা সব সংবাদপত্র বাতিল করে দেয়, শুধু রাষ্ট্রীয় মালিকানায় সরকারি চারটি সংবাদপত্র বহাল রাখে।
আজকের স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসেও আমরা একই চিত্র দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তারা তখন গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। ১৯৭০ সালে সাধারণ জনগণ যাদের উপর আস্থা রেখেছিল তারা পরবর্তীতে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসে আওয়ামীলীগ এর চিরচারিত চরিত্র আবারো উন্মোচিত করেছে। তাদের কাছে যে গণতন্ত্র নেই তারা যে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাসী সেটি আবারও সামনে নিয়ে আসে।
ইশরাক বলেন, গত কয়েকদিন যাবত একজন ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা আদনান নিখোঁজ। এমন অনেক মানুষ যারা সরকারের সমালোচনা করেছেন অতীতে তারা গুম হয়ে গিয়েছেন, আমাদের দলের সিনিয়র নেতা কর্মীরাও গুম হয়ে গিয়েছেন। অনেককে পাওয়া গিয়েছে অনেককে পাওয়া যায় নাই। ইশরাক হোসেন বরেন “আমরা এসব নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান চাই”।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম।
এডিজেড/ একে/ দূরবীন নিউজ