দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, এদেশে কোন লিজিং কোম্পানি অথবা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আইন বহির্ভূত কাজ করে পার পাবে না। দুদকের কঠোর নজরদারি রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। তিনি বলেন, ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম এবং অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে দুদকের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজদের রেহাই নেই।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
কারণ ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ লোপাটের ঘটনায়।
দুদক সচিব বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হককে গত বছর গ্রেফতার করা হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জবানবন্দিতে এস কে সুর চৌধুরী এবং শাহ আলমের নাম প্রকাশ করেছেন। যারফলে তাদেরকে দুদকে আসতে বলা হয়েছিল।
ওনারা আজকে এসেছিলেন। তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা এ বক্তব্য যাচাই-বাছাই করবেন ও পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। রাশেদুল হকের জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে, তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তদন্ত কর্মকর্তা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’
দুদক সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে আরও তথ্য-উপাত্ত পেলে সেটা আমলে নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পি কে হালদার সংশ্লিষ্টতায় আইএলএফএসএল থেকে কাগুজে প্রতষ্ঠানের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে ২২টি মামলা করেছে দুদক। এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আরও ১২টি মামলা হয়েছে।
সর্বশেষ ৩৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১২ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। যার মধ্যে ১০ জন েেক্রাক করা হয়েছে। ৬৪ জনকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের নোটিশ জারি করা হয়েছে। আগামীতে যে নামগুলো আসবে, পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ #