দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
হাইকোর্টে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) ২৮৬ জন ঋণখেলাপির মধ্যে আরো ৬ ঋণখেলাপির পক্ষ থেকে ১৯ লাখ টাকার চেক ও পে-অর্ডার জমা দেয়া হয়েছে। অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা
আজ বুধবার অরো পাঁচজন ঋণখেলাপি আদালতে হাজির হয়েছেন।
বুধবার (৩১মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের ঋণখেলাপির বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ হাইকোর্টে খেলাপি আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে ব্যাষ্টিার মেজবাহুর রহমানপক্ষে শুনানি করেন।
আদালতের বাইরে ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান গণমাধ্যমকে ৬ ঋণখেলাপির পক্ষ থেকে ১৯ লাখ টাকার চেক ও পে-অর্ডার জমা দেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেননি আদালত। কিন্তু আদালত পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে আদেশ দেবেন।’
জানা যায়, আদালতে নির্দেশে গত ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি এবং ৯ মার্চ এই তিনদিনে ১৬৪ জন ঋণখেলাপি হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হয়েছিলেন। ২৮৬ ঋণখেলাপির মধ্যে ১২২ জন উপস্থিত হননি। পরে এই ১২২ জনর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ছিলেন হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশের পরও এই ১২২ ঋণ খেলাপি ব্যক্তি বা সত্বা পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তারা দেশত্যাগ করতে না পারেন না। আর এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্ক এবং সজাগ থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ২১ জানুয়ারি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া এমন ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। অপর এক আদেশে আরও ৬জনকে তলব করা হয়। এ নিয়ে মোট ২৮৬ জনকে তলব করা হয়েছিল হাইকোর্টে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বলেন, ঋণগ্রহীতা ৫০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা গত ২৩ নভেম্বর আদালতে দাখিল করা হয়। ওই তালিকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ২৮৬ জনকে কারণ দর্শাতে বলেন আদালত।
তিনি আরোজানান, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণসহ ২৮৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পিপলস লিজিংয়ের পাওনা এক হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার বেশি।/