দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আবাসিকে গ্যাস সংযোগ না দিয়ে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুলে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং রিট আবেদনকারীদের গ্যাস সংযোগ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ), পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কর্ণফুলীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাখরাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি গ্রাহক ঐক্যজোটের সভাপতি আলমগীর নূর ও মহাসচিব একেএম অলিউল্লাহ হক ও সাধারণ গ্রাহক মো. নুরুল আলমের করা এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওয়াজি উল্লাহ, সঙ্গে ছিলেন আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও আফরোজা সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী জানান, গত ২৭ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ‘আবাসিকে গ্যাস সংযোগ আর চালুর সুযোগ না থাকায় ডিমান্ড নোটের প্রেক্ষিতে যারা টাকা জমা দিয়েছিল তাদেরকে ক্রস চেকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।’ সরকারের এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রাম গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি গ্রাহক ঐক্যজোটের সভাপতি আলমগীর নূর ও মহাসচিব একেএম অলিউল্লাহ হক ও সাধারণ গ্রাহক মো. নুরুল আলম গত ৪ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটকারীদের আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ বলেন, ‘আইনে বলা আছে, ডিমান্ড নোটের (চাহিদাপত্র) প্রেক্ষিতে গ্যাস সংযোগের জন্য টাকা জমা নেয়া হলে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের গ্যাস সংযোগ দিতে সরকার বাধ্য। কিন্তু টাকা জমা নেয়ার পর নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও তাদের গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়নি, বরং তাদের টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা আইন সম্মত নয়। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে আমরা আদালতে এসেছি। আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করেছেন।’
#