দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
আফগানিস্তানের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি ট্রায়াল ম্যাচ আয়োজন করল তালেবান সরকার। শুক্রবার কাবুল স্টেডিয়ামে আয়োজিত এ ম্যাচ দেখতে কোনো নারী দর্শক না এলেও ম্যাচটি উপভোগ করেছেন ৪০০০ দর্শক।
স্টেডিয়ামে উড়ানো হলো আফগান ও তালেবান পতাকা। গত ১৫ আগস্ট তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের পুনরায় নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এটাই সে দেশে প্রথম কোনো ক্রিকেট ম্যাচ।
দুটি দল ‘পিস ডিফেন্ডার’ (শান্তিরক্ষী) ও ‘পিস হিরোজ’ (শান্তির নায়ক) নামে মুখোমুখি হয়। আফগানিস্তান জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এ ম্যাচে খেলেছেন। ক্রিকইনফো লিখেছে, গুলবদীন নাইব, হাসমতউল্লাহ শহিদি ও রহমত শাহ খেলেছেন।
কাবুল স্টেডিয়ামে তালেবান কমান্ডার হামজা একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘এখানে ক্রিকেট ম্যাচ দেখাটা দারুণ ব্যাপার।’ কাবুল স্টেডিয়ামে দর্শকদের শান্ত রাখা এবং ম্যাচের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত যোদ্ধা দলের নেতৃত্বে ছিলেন হামজা।
নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে নিয়োজিত যোদ্ধাদের অনেকেই নিজের কাজ ভুলে দর্শকদের চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে ম্যাচটা দেখেছেন।
হামজাও নিজেকে দাবি করলেন ক্রিকেটার হিসেবে। বললেন, ‘আমি নিজেও খেলোয়াড়। একজন অলরাউন্ডার।’
তবে দেখার মতো দৃশ্য ছিল অন্যকিছু- মাঠে আফগানিস্তানের পতাকা ও তালেবান বাহিনীর পতাকা পাশাপাশি। আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জাতীয় ঐক্যের স্বার্থেই এই ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে। দেশটিতে খেলাধুলার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অবশ্য তালেবানের অধীনে আসার পর থেকে খেলা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন।
তালেবান বাহিনী প্রথম মেয়াদে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকার সময়ে দেশটিতে অনেক খেলাই নিষিদ্ধ ছিল। তবে এ বারের ছবিটা আলাদা ছিল। এ দিন উপস্থিত প্রায় ৪ হাজার দর্শক এবং নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে উৎসাহের কমতিও ছিল না। ম্যাচটি ছিল টি-টোয়েন্টি।
শুক্রবারের ম্যাচে দর্শকরা আফগানিস্তানের চিরায়ত পতাকা এবং তালেবান পতাকা- দুটোকেই সাদরে গ্রহণ করে নেন। ক্রিকেটপ্রেমীরা বিনে পয়সায় মাঠে ঢুকে খেলা দেখেছেন। তবে মাঠে ঢোকার পথে সবার তল্লাশি নিয়েছেন তালেবান নিরাপত্তারক্ষীরা।
ম্যাচে পিস ডিফেন্ডাররা ৬২ রানে জেতার পর আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হামিদ শিনওয়ারি জানান, ইতিবাচক দিক বোঝাতেই দুটো পতাকা পাশাপাশি রাখা হয়। ‘এটা ঐক্যের প্রতীক’, বলেন শিনওয়ারি।
# সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস