দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দেশের বহুল আলোচিত ঘটনা, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার, শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধভাবে স্বর্ণালঙ্কার মজুদের অভিযোগে রমনা মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় চার্জশিট ( অভিযোগপত্র) দাখিল করেছেন শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে। আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখার সূত্র মতে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় এই চার্জশিট দাখিল করেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের হওয়া পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করা হয়।এর মধ্যে গুলশান থানায় দু’টি (মামলা নং- ১৫ ও ১৬), ধানমন্ডি থানায় একটি (মামলা নং- ১০), রমনা থানায় একটি (মামলা নং- ২৭) এবং উত্তরা থানায় একটি (মামলা নং- ১৭)। শুল্ক গোয়েন্দার পাঁচ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে এম আর জামান বাঁধন, বিজয় কুমার রায়, মো. শাহরিয়ার মাহমুদ, মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এই ৫টি মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ১২ আগস্ট চোরাচালানের মাধ্যমে আনা প্রায় ১৫ মণ সোনা ও হীরা জব্দের ঘটনায় এবং এসব মূল্যবান ধাতু কর নথিতে অপ্রদর্শিত ও গোপন রাখার দায়ে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা। তার মধ্যে গুলশান থানায় দুটি, ধানমন্ডি থানায় একটি, উত্তরা থানায় একটি ও রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরো জানা যায়,২০১৭ সালের ২৮ মার্চ আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত কয়েক সহযোগীকে সাথে নিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। আর ওই অভিযোগে ২০১৭ সালের ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।
এরপরই ২০১৭ সালে আপন জুয়েলার্সের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও শুল্ক ফাঁকি চোরাচালনের মাধ্যমে অবৈধভাবে স্বর্ণালঙ্কার আমদানি, মজুদ, মেরামত, তৈরি, বিক্রয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘটিত ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ বড় আকারে আসতে থাকে। আর এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটগুলো কাজ করছে। আয়কর নথিতে অপ্রদর্শিত স্বর্ণ দেখানোর কারণে সংশ্লিষ্ট আয়কর জোনের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেয়া হয়।/