দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
আজ (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টায় আইপিএলের মেগা ফাইনাল শুরু হচ্ছে। আজ শিরোপার জমজমাট লড়াইয়ে মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। কে হবে চ্যাম্পিয়ন? কার হাতে উঠবে আইপিএল শিরোপা?
নিজে যতটা সম্ভব পারফর্ম করছেন। সঙ্গে দলকে রাখছেন দারুণ উজ্জীবিত। কেকেআর কোচ এবং অধিনায়ক পর্যন্ত বলে দিয়েছেন, সাকিবের একাদশে ফেরার পরই পরিবর্তন হয়ে যায় কেকেআরের চেহারা।
গত এপ্রিল-মে মাসেই নির্ধারণ হয়ে যেতো, এবারের চ্যাম্পিয়ন কে? কিন্তু করোনার কারণে লম্বা বিরতি দিয়ে ভারত ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দ্বিতীয় পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হলো। এখানে এসেই যেন নিজেদের ফিরে পেয়েছে কেকেআর। বিশেষ করে সাকিব আল হাসানকে দলে ফেরানোর পর থেকেই উর্ধ্বগতিতে ছুটছে যেন কেকেআরের বাজির ঘোড়া।
তবে, ফাইনালের আগে হঠাৎ জ্বল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে, ম্যাচটি যেহেতু দুবাইয়ে হবে, সে কারণে কেকেআর একাদশে কী সাকিবকে রাখা হবে? নাকি তাকে বাদ দিয়ে ফিরিয়ে আনা হবে আন্দ্রে রাসেলকে। কারণ, ইনজুরি সমস্যা কাটিয়ে এরই মধ্যে কেকেআরের নেটে ব্যাট করেছেন আন্দ্রে রাসেল।
তাকে একাদশে রাখা হলে বাদ দেয়া হবে কাকে? সাকিব ছাড়া অপশন নেই। আবার হুট করে রাসেলকে খেলানো উচিৎ হবে কি না তা নিয়েও জ্বল্পনা-কল্পনা চলছে। কেকেআরের ডেভিড হাসি রাসেলকে ফেরানোর ইঙ্গিত দেয়ার পরই মূলতঃ এই চিন্তা শুরু হয়।
শুভমান গিল : শেষ চার ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৪৬ বলে ৪৬ রান করেন। তবে ম্যাচ শেষ করার ক্ষেত্রে পারদর্শী হওয়া প্রয়োজন গিলের। সে সঙ্গে শট খেলার ক্ষেত্রেও নিখুঁত হতে হবে গিলকে। বলের লেংথ ভুল মেপে দিল্লির বিরুদ্ধেও আউট হয়েছিলেন।
ভেঙ্কটেশ আয়ার : আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে কেকেআরের সেরা আবিষ্কার তিনিই। আয়ার আসার পরই কেকেআরের ওপেনিংয়ে ভোল পাল্টে যায়। এরইমধ্যে ৯ ইনিংসে ৩২০ রান করেন। বড় ম্যাচেও যে খেলার মানসিকতা আছে, সে প্রমাণ দিয়েছেন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। দিল্লির বিরুদ্ধে ছোটো লক্ষ্যমাত্রা হলেও হোঁচট খাওয়ার যাবতীয় রসদ ছিল; কিন্তু তা কাজে আসতে দেননি আয়ার। বুদ্ধিদীপ্ততার সঙ্গে আগ্রাসনের মিশেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ৪১ বলে ৫৫ রান করেছিলেন। যা কেকেআরের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল।
নীতিশ রানা : আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে এখনও বড় ইনিংস খেলেননি। গুরুত্বপূর্ণ রান করেছেন। তবে ম্যাচ শেষ করে আসার কৌশল রপ্ত করা প্রয়োজন তার। দিল্লির বিরুদ্ধে তারই ম্যাচ শেষ করে আসা উচিত ছিল।
রাহুল ত্রিপাঠি : তার এক ছক্কাই কেকেআরকে ফাইনালে তুলে দিয়েছে। চাপের মুখে দিল্লির বিরুদ্ধে খেলেছেন। যা তাকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এমনিতেই আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে খুব একটা খারাপ ছন্দে নেই। তবে আরও কিছুটা ধারাবাহিকতার প্রয়োজন আছে।
দিনেশ কার্তিক : একেবারেই ছন্দে নেই আইপিএলে। ইলিমিনেটর এবং দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চাপের মুখে পরপর ব্যর্থ হয়েছেন। কেকেআরকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারেননি। বিশেষত দিল্লির বিরুদ্ধে যে অবস্থা হয়েছিল, তাতে তার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের চাপ শুষে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তা পারেননি। তবে ফাইনালে সেটা শুধরে নিতে হবে।
ইয়ন মরগ্যান : এবারের আইপিএলে একেবারে জঘন্যতম ফর্মে রয়েছেন তিনি। ১৬ ম্যাচে করেছেন মাত্র ১২৮ রান। গড় ছিল মাত্র ১১.৭২। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও শূন্য করেছেন। তবে অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের সময়টা বেশ ভালো কেটেছে মরগ্যানের।
সাকিব আল হাসান : শারজা নয়, দুবাইয়ে হবে আইপিএল ফাইনাল। যার ফলে কেকেআর প্রথম একাদশে পরিবর্তন করা হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা আছে। যে দুবাইয়ের মাঠে তুলনামূলকভাবে ব্যাটে বল আসছে। নেটে আন্দ্রে রাসেলও বল করছেন বলে জানা গেছে। কেকেআরের ডেভিড হাসিও সামান্য ইঙ্গিত দিয়েছেন যে রাসেল খেলতে পারেন ফাইনালে।
তবে চোট সারিয়ে ফেরার পরই ফাইনালের মতো ম্যাচে সম্ভবত রাসেলকে নামানোর ঝুঁকি নেবে না কেকেআর। এমনিতেই তার চোটের প্রবণতা আছে। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে কেকেআরের ‘১২ ওভারের স্পিন বোলিং তত্ত্ব’ (পার্ট-টাইম স্পিন নয়) কাজ করেছে। যা রাসেল দলে এলে সম্ভব নয়। সে পরিস্থিতিতে সাকিবকেই প্রথম একাদশে রাখার সম্ভাবনা বেশি। যিনি দুবাইয়ে ম্যাচ খেলেছেন।
সুনিল নারিন : ইলিমিনেটরে একেবারে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও তেমন খারাপ বল করেননি। চার ওভারে দিয়েছিলেন ২৭ রান। শুক্রবার নারিনকে নিজের ইতিহাসের বিরুদ্ধেও খেলতে হবে। যিনি ২০১২ সালে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ফাইনালে প্রচুর রান দিয়েছিলেন। সেটা অবশ্য হাই-স্কোরিং ম্যাচ ছিল।
#