দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে সামাজিক যোগারেযাগ মাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য পোস্ট দিয়ে দুই সপ্তহের জন্য আইন পেশা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দক।
আপিল বিভাগের নজরে আইনজীবী ইউনুছ আলীর পোস্টটি ‘গুরুতর আদালত অবমাননা’ হয়েছে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার আবেদনটি গ্রহণ করা হয়।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আইনজীবীর পোস্টটি আদালতের নজরে আনেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
পরে ইউনুছ আলী আকন্দকে আইনজীবী পেশা বা কাজ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য বিরত (সাসপেন্ড) থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে
সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে কোনো মামলায় আইনজীবী হিসেবে আর অংশ নিতে পারবেন না তিনি।
শুধু তাই নয়,আগামী ১১ অক্টোবর আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ইউনুছ আলী আকন্দকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আপিল বিভাগ। এছাড়া ইউনুছ আলী আকন্দের ফেসবুক পেজ থেকে বিচার বিভাগ নিয়ে বিরুপ মন্তব্যটি অপসারণ করার পাশাপাশি তার অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক করতে’ বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ সময় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, মনসুরুল হক চৌধুরী, আব্দুল মতিন খসরু, সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল আদালতের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। আদালত তাদের বক্তব্য শুনে এই আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, এরআগে বিচার বিভাগ নিয়ে ফেসবুকে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করায় গত ১২ আগস্ট আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করেছিলেন আপিল বিভাগ। দোষ স্বীকার করে ২০ আগস্ট নিঃর্শত ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আর ‘অবমাননাকর কাজ’ না করার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর গত ২৩ আগস্ট আপিল বিভাগ মামুন মাহবুবকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। #