দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুলশানে নিজ বাসভবনে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন । ইতিমধ্যে অসুস্থ খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল টিম।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মেডিক্যাল টিমের সদস্য এ.জেড. এম. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গতকাল আপনারা তাকে দেখছেন। তিনি খুবই অসুস্থ।
পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে এখন মানসিকভাবে বেটার ফিল করছেন।’ সবকিছু পর্যাবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে এই মুহুর্তে খালেদা জিয়াকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এদিকে বুধবার (২৫ মার্চ) বুধবার সন্ধ্যায় মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেন।
এরআগে বুধবার ‘বিকেলে ৬ মাসের জন্য কারামুক্তি পান তিনি। খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাসপাতাল) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতাল থেকে গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নিয়ে যাওয়া হয়। মুক্তির পরপর তার চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়।
খালেদা জিয়াকে যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করা হয়, তখন সেখানে সাংবাদিক ও নেতা-কর্মীদের ভিড় ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের কারণে মহামারি চলছে।
আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে এই রোগটি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সকলকে তিন ফুট দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও কেউ তা শোনেনি। এমনকি সংবাদিকরাও।’
খালেদা জিয়া এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষে মেডিক্যাল টিম পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে। তবে এখন অন্যান্য সমস্যার জন্য যে চিকিৎসা প্রয়োজন সেগুলোও করা হবে।’
বুধবার সন্ধ্যায় প্রফেসর ডাক্তার এফ.এফ. রহমান, প্রফেসর ডাক্তার রজিবুল ইসলাম, প্রফেসর ডাক্তার আব্দুল কদ্দুস, প্রফেসর ডাক্তার হাবিবুর রহমান, প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন ও প্রফেসর ডাক্তার এ.জেড. এম. জাহিদ হোসেন এই ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
খালেদা জিয়া বাসায় যাওয়ার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান সাক্ষাৎ করেন।
পরে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের জানান, আগামী কয়েক দিন নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা করা হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। # কাশেম