দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
শত শত কোটি টাকা স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার আগ্রহ দেখিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস)। প্রতিবছর অবৈধভাবে দেশে স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রপ্রতি বাজুসের পক্ষ থেকে বিএফআইইউর প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার প্রতিরোধে যৌর্থভাবে কাজ করার আগ্রহের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
বাজুসের পক্ষ পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে বাজুসের প্রায় ৪০ হাজার সদস্য রয়েছে। প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার। এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প এখন রপ্তানির দিকে আগাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে স্বর্ণ চোরাচালান বড় ধরনের সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না, চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়ছে। ডলার সঙ্কটের অন্যতম কারণ। এ অবস্থায় স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে বিএফআইইউর সঙ্গে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী বাজুস।
এদিকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। গত ছয় মাসে দেশের বাজারে ১৭ বার স্বর্ণের দাম বাড়ানো অথবা কমানোর ঘটনা ঘটেছে। এর আগে কখনো দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে এতো অস্থিরতা দেখা যায়নি। দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের এই অস্থিরতা চোরাকারবারিদের দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেট ছড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ বাজুসের। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে প্রতিনিয়ত স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হচ্ছে। অবৈধভাবে দেশে স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
বাজুস বলছে, দেশে অবৈধভাবে আসা স্বর্ণের সিকিভাগ বা ২৫ শতাংশও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নজরে আসছে না। ফলে অনেকটা নির্বিঘ্নে নিরাপদে দেশে আসছে চোরাচালানের বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের চালান। আবার একইভাবে পাচারও হচ্ছে। বাংলাদেশ যে স্বর্ণ চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, এটা এখন কথার কথা নয়। বরং বর্তমান বাস্তবতায় তা প্রতিষ্ঠিত সত্য। #