দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শান্তনু সাহাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৬ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে যে কোন সময় দুদকের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন। দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামীরা হলেন- ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের এমডি শান্তনু সাহা, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজমুন নাহার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আহসানুল ইসলাম এবং সিনিয়ার ম্যানেজার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হক চৌধুরী।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে, অভিযুক্তরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ ৬১ লাখ ২০ হাজার ১১ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে স্থানান্তর, পাচার, পেমেন্ট ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে অপরাধ করেছেন আসামিরা।
এদিকে গত ২ মার্চ দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে ২ কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক এমডি শান্তনু সাহা, সাবেক ডিএমডি এবং চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজমুন নাহার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আহসানুল ইসলাম, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব আইসিসিডি তানভীর হাসান, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বিপ্লব সাহা এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানি সেক্রেটারি শেখ খালেদ জহিরের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা ভুয়া আয়কর উপদেষ্টা কোম্পানি দেখিয়ে ১০ চেকের মাধ্যমে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন। তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ -এর ৪ (২) ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লি. এন্ট্র পাস করানো হয়েছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ব্যাংকের ঋণচুক্তির বিপরীতে সুদ বাবদ কত টাকা পরিশোধ করতে হবে ভাউচারে এন্ট্রি দিয়ে তা পাস করানো হয়েছে।
কিন্তু চেক লেখার সময় ভাউচারে বর্ণিত প্রাপকের পরিবর্তে আয়কর কনসালট্যান্ট এ. হোসেন অ্যান্ড কোং -এর নামে চেক ইস্যু করা হয়। অর্থ আত্মসাতের এ কর্মকামন্ড কোম্পানির আয়কর পরামর্শক এবং কর্মচারীদের সুপরিকল্পিত ও সুসংগঠিত অপরাধ বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া একই ব্যক্তিকে কোম্পানির ট্যাক্স কনসালট্যান্ট ও ট্যাক্স অ্যাডভাইজার নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। আয়কর পরামর্শককে একই সঙ্গে আয়কর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ ও ফি প্রদান বেআইনি এবং বিধি বহির্ভূত। #