দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
দেশের বহুল আলোচিত ক্যাসিনোকান্ডে রাজধানীর পুরান ঢাকার দুই ভাই এনামুল হক ভূঁইয়া এনু ও রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা দুই কোটি টাকা উদ্ধার ও অর্থ পাচারের মামলার শুনানি,সাক্ষ্য গ্রহণ, জেরাসহ বিচারিক কার্যক্রময় প্রায় শেষ।
র্যাবেরে দায়ের করা মামলাটি সিআইডি পুলিশের তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট আমলে নিয়ে বিচারিক কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। গত ১৬ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত বুধবার (৬ এপ্রিল) ওই মামলার রায়ে ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছেন।
এ মামলার অপর আসামীরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। এই আসামীদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ৬ আসামি আছেন কারাগারে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের ওয়ারির লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়ি ঘেরাও করে র্যাব কর্মকর্তারা। কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে ৪র্থ তলার ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র্যাব কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় র্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর ওয়ারি থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আরও বলা হয়, আসামী এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছেন। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করতে কালামের বাসায় রেখেছিলেন। কালাম সেগুলো নিজের কাছে রাখেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অপরাধ।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী।
২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক বিশেষ জজ আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। #