দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগের নামে অর্থ স্থানান্তরের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য হাইকোর্টের জারি করা স্বতঃপ্রণোদিত রুলের বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত হবার আবেদন করেছেন অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ‘এস আলম গ্রæপের’ মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন।
গত ৬ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টে জারি করা সরকারের একাধিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে অনুসন্ধানের নির্দেশ প্রত্যাহার চেয়ে ‘এস আলম গ্রæপের’ মালিক এ দম্পতি পৃথক দুটি আবেদন জানা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ‘এস আলম গ্রুপের’ সাইফুল-ফারজানা দম্পতির পক্ষে রুলের বিবাদীপক্ষে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য এ আবেদন দাখিল করেন ব্যারিস্টর আজমালুল হোসেন কেসি। আবেদনে তারা আদালতে পক্ষভুক্ত হয়ে আগের জারি করা রুলের শুনানিকালে এ মামলায় যুক্তিতর্ক, পিটিশন ও আপিল উপস্থাপনের সুযোগ পেতে চেয়েছেন। জন্য রুলের বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত হবার অনুমতি চেয়ে আবেদনটি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতিখিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেে দাখিল করেছেন।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ‘এস আলম গ্রপের’ বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমান অর্থপাচার অভিযোগ সংক্রান্ত জাতীয় ইংরেজি দৈনিক প্রকাশিত প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে নজরে আনার পরই গত ৬ আগস্ট রুলসহ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন আদালত।
উচ্চ আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে,সরকারের অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম গ্রæপের মালিক সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানার বিরুদ্ধে আলোচিত অভিযোগ আগামী দুই মাসের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে। হাইকোর্টের জারি করা এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানার দুটি আবেদনের অনুলিপি অ্যাটর্নি জেনারেলকেও (রাষ্ট্রপক্ষ) সরবরাহ করা হয়েছে।
আবেদনে ভবিষ্যতে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন সাক্ষাৎকার, মন্তব্য ও মতামত না দেয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।বিষয়টি বিচারাধীন উল্লেখ করে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য উল্লিখিত নির্দেশনা চাওয়া হয় আবেদনে।
গত ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় এস আলমের বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে ‘এস আলম’স আলাদিন’স ল্যাম্প’ (বাংলা সংস্করে ‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’) শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে ওই প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার সুমন।এ প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনার পর এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত ৬ আগস্ট হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দেন।# কাশেম