দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের ( দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন , দুদক অভিযোগ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ব্যক্তির রাজনৈতিক বা সামাজিক পরিচয়কে ন্যূনতম গুরুত্ব দেয় না। বরং অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠতা এবং ব্যাপকতাকেই গুরুত্ব দেয়।
তিনি বলেন, দুদকের কাছে ব্যক্তির পরিচয় কোনো গুরত্ব বহন করে না। দুদক স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবেন তার আইনি দায়িত্ব পালন করে। দুদক বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনাকে সর্বদাই সাধুবাদ জানায়।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুদক প্রধান কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠককালে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন দুদকের মানলিন্ডারিং অনুবিভাগের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী প্রমুখ।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, বিশ্বব্যাংক দুদকের অন্যতম সহযোগী। তরুণ শিক্ষার্থীদের সততা ও নৈতিকতা চর্চায় বিশ্বব্যাংক কমিশনকে শিক্ষা উপকরণ প্রদানের মাধ্যমে যে সহযোগিতা করেছিল তা প্রশংসনীয়।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সীমিত সামর্থ্য নিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের মননে সততা ও নৈতিকতা গ্রোথিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, তরুণদের উন্নত নৈতিকতাসম্পন্ন নাগরিক হিসে গড়ে তোলা কিছুটা হলেও সহজ। উচ্চ নৈতিকতার মানদ- ধারণ করতে চায় তরুণরা।
তিনি বলেন, তাই কমিশন এই তারুণ্যকে কাজে লাগাতেই দেশের ২৬ হাজার ২১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করেছে। পর্য্য়ক্রমে উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করা হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন বছরব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী এ জাতীয় সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করবে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পরপরই দেশব্যাপী শুরু হবে রচনা প্রতিযোগিতা।
রচনা প্রতিযোগিতা শেষ হতে না হতেই শুরু হবে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।
তরুণদের মননে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গ্রোথিত করতেই দুদক সাংবাৎসরিক ভিত্তিতে এ জাতীয় কার্যক্রম পরচিালনা করছে। এ ধারা অব্যাহত রাখা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, যে বা যারা এদেশের সম্পদ পাচার করে বিদেশে নিয়ে গেছে এই সম্পদ পুনুরুদ্ধারে দুদক বিশ্বকেরে সগযোগিতা চায়। পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারই দদুকের সর্বোচ্চ আইনি অগ্রাধিকার বলেও মন্ত্যব করেন দুদক চেয়ারম্যন।
তিনি আরো বলেন, সম্পদপাচারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত জটিল বিষয়। বিভিন্ন দেশের স্ব্ স্ব আইানে কারণেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায় না। এমএলএআর করা সত্ত্বেত কোনো কোনো ক্ষেত্রে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না ।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বব্যাংক ও ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস এন্ড ক্রাইম (ইউএনও-ডিসি) কতৃর্ক গৃহীত স্টোলেন এসেট রিকভারি ইনিসিয়েটিভ কর্মসূচিতে ( ঝঃঅজ) দুদক কাজ করতে চায়।
এসময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রিডিরেক্টর দুদকের এই অভিপ্রায়কে স্বাগত জানান এবং বলেন , পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে বিশ^ব্যাংকের পক্ষে করণীয় সকল সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।
দুদক চেয়ারম্যান ব্রিটেন এবং হংকংয়ে কিছু হিসাবে জব্দের মাধ্যমে যে সব অর্থ জব্দ করা হয়েছে তার পরিসংখ্যান জানিয়ে বলেন , এ জাতীয় কর্ম সম্পাদনে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজনা।
এসময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুদকের কার্যক্রমের ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন, আমি সত্যিই অভিভুত। আপনার তরুণদের হৃদয়ে নৈতকতার যে বীজ বপন করছেন একদিন জাতি হিসেবে এর সুফল পাবেন।
তিনি সার্বিক বিষয়ে বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অগ্রগতি জানাবেন বলেও মন্তব্য করেন । # কাশেম