সর্বশেষঃ
র‌্যাক স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ফুটবলে ৪-০ গোলে বিজয়ী বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: বাদী নিশ্চিত নয়, উপদেষ্টা সেখ বশির আসামি বিমানবন্দরে অতিথির সম্মান পাবেন প্রবাসীরা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুলশানে রাস্তা ও ফুটপাতের ২৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫ জন আটক বন্যায় ক্ষতবিক্ষত রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক , জনভোগান্তি ১২০ টাকায় পুলিশের টিআরসি নিয়োগ: পুলিশ সুপার ফরিদপুর পদ্মাসেতু থেকে শরীয়তপুর  সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবীতে মানববন্ধন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১,৩১,৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ‘সরকারি প্রকল্পে অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকতে হবে’
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

অবৈধ সব রাসায়নিক গুদাম ও কারখানা আইনের আওতায় আনার পরামর্শ ভিআইপি’র

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:

পুরান ঢাকাসহ দেশের সকল স্থানে অনুমোদনহীন ও বেআইনিভাবে রাসায়নিক গুদাম ও কারখানা স্থাপনকারীদের আইনের আওতায় আনা এবং মানুষের জীবন রক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানী ঢাকার বাস্তবতা মাথায় রেখে আর্থ-সামাজিক বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে মনে করেনে তারা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) অনলাইনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) আয়োজিত “সমসাময়িক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা প্রসংগ” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিআইপি’র পক্ষ থেকে উপরোক্ত মতামত তুলে ধরা হয়।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বিআইপি’র পক্ষ থেকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

বিআইপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, পুরান ঢাকার আরমানিটোলার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাকে দূর্ঘটনা নয়, বরং ব্যবসায়ী, বাড়ির মালিক সহ সংশ্লিষ্টদের অতি মুনাফা লাভের প্রবণতা এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার সম্মিলিত দায়ের ফলাফল।

পুরাতন ঢাকা বোমার উপর বসবাস করছে, এটা জানা সত্বেও মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থাসমূহের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে প্রভাবশালী মহল ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার যে দায় আছে তাকে উপেক্ষা করে জনস্বার্থ ও মানুষের জান-মাল রক্ষায় সরকারের বলিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি কেউ রোধ করতে পারবেনা।

বিআইপি’র সাধারণ সম্পাদক বলেন, পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম ও কারখানা সমূহগুলোর অধিকাংশই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও আদর্শগত মান অনুসরণ করে নির্মিত হয়নি এবং অনুমোদনহীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

ড. আদিল বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় কেমিক্যাল শিল্প পার্ক বাস্তবায়ন সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সমাধান হিসেবে পুরাতন ঢাকায় যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা রাসায়নিক গুদামগুলোকে শৃংখলায় আনবার জন্য পাঁচটি প্রস্তাবনা দেয়া হয় বিআইপির পক্ষ থেকে।

প্রথমতঃ অধিক বিপদজনক রাসায়নিক গুদামসমূহকে অনতিবিলম্বে সরকারী-বেসরকারী শিল্প এলাকায় স্থানান্তর করবার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

দ্বিতীয়তঃ তুলনামূলক কম বিপদজনক রাসায়নিক গুদামকে পুরান ঢাকার সু্নির্দিষ্ট কিছু ভবনের মধ্যে স্থানান্তর করে আশু ঝূঁকি কমানো যায় কিনা সেব্যাপারেও পরিকল্পনাগত বিশ্লেষণ করা একান্ত প্রয়োজন।

তৃতীয়তঃ আবাসিক ভবনে মিশ্র ব্যবহারের নামে রাসায়নিক গুদাম বা কারখানা কোনভাবেই অনুমোদন দেয়া যাবে না এবং অনতিবিলম্বে আবাসিক ভবন হতে সকল রাসায়নিক গুদাম বা কারখানা সরাতে হবে।

চতুর্থতঃ রাসায়নিক উপাদান উৎপাদন, বিপণন, বিক্রি ও গুদামজাত করার বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা প্রণয়ন করতে হবে।

পঞ্চমতঃ পুরান ঢাকার বাইরে টংগী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম প্রভৃতি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাসায়নিক গুদাম আছে, সেগুলোকে নজরদারির আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

অধ্যাপক আদিল বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নগর পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সাবওয়ে প্রধানত উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সীমিত সংখ্যক কিছু শহরে নির্মিত হলে ও সাবওয়ে নির্মাণ অতি ব্যয়বহুল প্রকল্প। ফলে বিশ্বের অতি ধনী দেশগুলোও এখন নতুন করে নগরের বিস্তৃত নেটওয়ার্কজুড়ে সাবওয়ে নির্মাণের মত উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে অনেক সাবধানী।

সেখানে বাংলাদেশ যদি ও মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবার যাত্রাপথে আছে, আমাদের মাথাপিছু আয় উন্নত দেশের তুলনায় এখনও অতি অল্প। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় যেখানে প্রায় ২ হাজার ডলার, সেখানে আমেরিকার ৭০ হাজার (বাংলাদেশের ৩৫ গুণ) , সিংগাপুর ৬৫ হাজার (৩৩ গুণ), জার্মানি ৫০হাজার (২৫ গুণ), ইংল্যান্ড ৪৫ হাজার (২৩ গুণ), জাপান ৪০ হাজার ডলার (বাংলাদেশের ২০ গুণ)। ফলে সাবওয়ে নির্মাণের মত অর্থনৈতিক শক্তি আমাদের নেই বললেই চলে।

সাধারণত এক কিলোমিটার সাবওয়ে লাইন নির্মাণে অন্তত ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে নির্মিত সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো দেশ ও প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোতে পাতাল রেলের নির্মাণ ব্যয় আরো বেশি। সিঙ্গাপুরের ডাউনটাউন এমআরটি লাইন (পুরোটাই পাতালপথে) নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয়েছে ৪৯৩ মিলিয়ন ডলার। আর হংকংয়ের শা তিন সেন্ট্রাল লিংক নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয়েছে ৫৮৬ মিলিয়ন ডলার।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ইমারত ও নগর পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান সংশোধন করে এবং সুষ্ঠূ নগর পরিকল্পনার মাধ্যমে নগর এলাকায় সবুজ এলাকা ও জলাশয় বাড়ানোর মাধ্যমে নগর এলাকার তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধ না করতে পারলে সামনের দিনগুলোতে আরো বিপদ অপেক্ষা করছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য নগর এলাকার জন্য।

পাশাপাশি পরিবেশ- প্রতিবেশ, জনস্বার্থ-জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প প্রণয়ন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে মত প্রদান করে নগর পরিকল্পনাবদদের পেশাজীবি সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স।
# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৫ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12