দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা (কর্নেল) শহীদ উদ্দিন খান এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুমোদিত চার্জশিট ভুক্ত অপর আসামীরা হলেন, মো. শহীদ উদ্দীন খানের স্ত্রী ফারজানা আনজুম খান এবং দুই মেয়ে শেওতাজ মুনাসী খান ও বারিশা পিনাজ খান।
মঙ্গলবার (২ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আসামীদের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে যে কোনদিন আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ফরোয়াডিংসহ চার্জশিট দাখিল করবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন। (২ মে বিকেলে গণমাধ্যমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, দুদকের তদন্তে আভিযুক্ত মো. শহীদ উদ্দীন খান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মোট ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. শহীদ উদ্দীন খান আয়কর ফাঁকির অপর এক মামলায় দÐপ্রাপ্ত ।
দুদক সূত্র মতে, অভিযুক্ত মো. শহীদ উদ্দীন খান পরিবারসহ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তাদের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল দুদকের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে,অভিযুক্ত কর্নেল মো. শহীদ উদ্দীন খান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অবৈধ সম্পদের মধ্যে রাজধানীর বারিধারায় একটি ফ্ল্যাট, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ২৬ কোটি টাকার এফডিআর ও ইস্টার্ন ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার এফডিআরসহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের তথ্য রয়েছে। যার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু শহীদ খানের পক্ষ থেকে কোনো সম্পদের হিসাব দুদকে দাখিল করা হয়নি। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকার আয়কর ফাঁকির মামলায় কর্নেল (অব) শহীদ উদ্দীন খানকে ৯ বছরের কারাদÐ দেয় আদালত। ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০–এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় দেন। তখন থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
ওই মামলা সূত্রে জানা যায়, তিন অর্থবছরে ১৭ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার ১০৭ টাকা আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে মামলা করেন সহকারী কর কমিশনার শেখ আলী হাসান। এরপর ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর চার্জ গঠন হয়। # কাশেম