দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের জামিন আবেদন গ্রহণ করেছেন বিচারিক ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম জামিন আবেদন করেন।আদালত শুনানি শেষে বিকেলে তাদের জামিন আবেদন গ্রহণ করেন।
এরআগে দুদকেরগত ১১ নভেম্বর পাপুলসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। ওই মামলার আসামি পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশে মোতাবেক আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
জানা যায়, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে গত ১১ নভেম্বর সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলেন, পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত মানি লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা।
অথচ মাত্র ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের আয়ের উৎস নেই। এছাড়াও এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার উৎস জেসমিন প্রধান দাখিল করতে পারেননি।
এদিকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলসহ তার পরিবারের ৪ জনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে দেশের ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে সিআইডির করা অর্থ পাচার মামলায় ৫৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুদক ও সিআইডির মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ পাপুল ও তার পরিবারের সব সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।#