দুরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
অবশেষে রাজধানীর পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় শত বছরের পুরোনো ডিআইটি পুকুর উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রভাবশালীদের অবৈধ দোকান-পাট এবং স্থাপনাগুলো। এই উচ্ছেদ অভিযানকে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় লোকজন সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে পুকুরের জায়গা দখল করা স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকে কেন্দ্র করে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এর আগে অবৈধ দখলের পর গড়ে ওঠা দোকানের মালামাল সরাতে রাজউকের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। প্রথমে দোকানিরা মালামাল না সরালেও অভিযানের সময় বাধ্য হয়ে দোকানের মালামাল সরিয়ে নেয়।
এদিকে গত ৭জুন (বুধবার) ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, “ডিআইটি পুকুর উদ্ধারে অবশ্যই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এই বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের সম্পত্তি বিভাগকে জরিপ করতে বলে দিয়েছি। সেটা সম্পত্তি বিভাগ জরিপ করে দেখবে। জমিটার স্বত্ব অনেকেই দাবি করছে।
মেয়র গণমাধ্যমকে বলেছেন, পর্চা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে পুরান ঢাকার ডিআইটি পুকুর দখলমুক্ত করা হবে। রাজউকের সঙ্গে কথা বলে সেটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেবো। কেউ এটা দখল করতে পারবে না।
মেয়র তাপস বলেছেন, আমরা দখলমুক্ত করে পর্চা ও মানচিত্র অনুযায়ী পুকুরের সীমানা নির্ধারণ করে, সেখানে সৌন্দয্যবর্ধন করব।”
তিনি বলেন,বিভিন্ন সংস্থার কাছে থাকা জলাশয়, পুকুর আইন অনুযায়ী করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর না করায় দখলের আগ্রাসন বেড়ে যাচ্ছে । মেয়র শেখ তাপস বলেন, “আমরা কিন্তু রাজউককে জানিয়েছিলাম যে, এটা দখলমুক্ত করতে অথবা আমাদের কাছে হস্তান্তর করতে। কারণ, সকল জলাশয়-পুকুর সংরক্ষণ করা কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব-কর্তব্য। কিন্তু এখনো বিভিন্ন জলাশয়, পুকুর অনেক সংস্থার কাছে রয়ে গেছে। যার কারণে আমরা যথাযথ তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে চাইলেও কিন্তু নিতে পারছি না।
এরপরই আজ ডিআইটি পুকুর উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা শুরু করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এর আগে পুকুরটি রক্ষার জন্য স্থানীয় লোকজন মানববন্ধনও করেন। এছাড়া পুকুর রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও পুকুর ভরাটকারী ব্যক্তিদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। # কাশেম