দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
অবশেষে আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকার শুতুল জেলার কেন্দ্র এবং ১১টি চৌকি দখল করে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। তারা লড়াইয়ে বিরোধী পক্ষের বিপুল ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টম্বর) তালেবান নেতারা বলেছে, তারা আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনা ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সঙ্ঘাতের সূচনার শুরুতেই ঞ্জশির উপত্যকার ওই ১১টি চৌকি নিয়ন্ত্রনে নিয়েছেন।
তালেবানের সংস্কৃতি কমিশনের সদস্য বলেন, বুধবার রাতে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে বিরোধী বাহিনীর ৩৪ জন সদস্য নিহত হয়েছে। তালেবান তাদের বাহিনীর শুতুল জেলায় অগ্রসর হওয়ার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।
তালেবান সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানি বলেন, গত রাতের পাঞ্জশির অভিযানে বিরোধী পক্ষের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর আজ সকালে শুতুল জেলায় সঙ্ঘর্ষ হয়েছে। অবশ্য, বিরোধী আহমদ মাসুদের অনুগত বাহিনী তালেবানের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তালেবান পক্ষেরই বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিরোধী ফ্রন্টের মুখপাত্র ফাহিম দস্তি বলেন, গত চার দিনের যুদ্ধে অন্তত ৩৫০ তালেবান যোদ্ধা নিহত ও ২৯০ জন আহত হয়েছে। দস্তি বলেন, গত রাতে জাবাল সিরাজ পর্বতমালা দিয়ে শুতুল জেলায় প্রবেশ করার জন্য তালেবান কয়েকবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের চেষ্টগুলো ভণ্ডুল হয়ে গেছে, তাদের লাশগুলো যুদ্ধক্ষেত্রেই রয়ে গেছে। তারা মাত্র ৪০টি লাশ সাথে করে নিয়ে যেতে পেরেছে।
বিরোধ নিষ্পত্তিতে সমঝোতার প্রয়াস ব্যর্থ হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সঙ্ঘর্ষ হচ্ছে। এক বিশ্লেষক বলেছেন, এ ধরনের সঙ্ঘাত কোনো পক্ষের জন্যই কল্যাণকর হবে না। তাদের বরং আলোচনা শুরু করা উচিত।
আগামীকাল শুক্রবার নতুন সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করতে পারে তালেবান। তালেবান কর্মকর্তা আহমদুল্লাহ মুত্তাকি সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, সরকার ঘোষণা উপলক্ষে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।
মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে দুটি তালেবান সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, শুক্রবারের আসর নামাজের পর সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়া হতে পারে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যহারের প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এর আগে বলেছিলেন, নতুন সরকার ঘোষণা অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই হবে।
# সূত্র : আল জাজিরা