দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
অবশেষে ধরা পড়েছে কুখ্যাত প্রতারক, জালিয়াত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব জানিয়েছে, ভারতে পালিয়ে যাবার আগ মুহূর্তে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-এর কর্মকর্তা সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেফতার এড়াতে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ছদ্মবেশ ধারণ করে ছিল। কিন্তু এসব ছলচাতুরি কোনো কিছুই তার শেষ রক্ষা হয়নি।
তিনি বলেন, “বোরকা পরে একটি নৌকায় উঠার চেষ্টা করছিলেন মো. সাহেদ। তখনই তাকে আটক করা হয়।”
র্যাব কর্মকর্তা জানান, “নৌকায় ওঠার আগেই আমরা ধরে ফেলেছি, মূলত পাড়ে। আমরা তাকে অনুসরণ করছি বিভিন্ন জায়গায়। সে ঘনঘন তার অবস্থান পরিবর্তন করছিল।”
“সে তার চুলের রং চেঞ্জ করেছে, গোঁফ কেটে ফেলেছে। তার চুল সাধারণত সাদা থাকে, সে কালো করে ফেলেছে। তার প্ল্যান ছিল মাথা ন্যাড়া করার। সে ইন্ডিয়াতে গেলে হয়তো করতো।”
র্যাব কর্মকর্তা জানান, নৌকার যে মাঝি মো. সাহেদকে নদী পার হতে সহযোগিতা করছিল, সে পালিয়ে গেছে। “সে মাঝি আসলে খুব ভালো সাঁতার জানে। উপস্থিতি টের পেয়ে সে সাঁতরিয়ে চলে গেছে। সে (শাহেদ) মোটা মানুষ সেজন্য হয়তো সে পালাতে পারে নাই। সেজন্যই সে (শাহেদ) ধরা পড়েছে। ”
টেস্ট না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে গত ৭ই জুলাই সিলগালা করে দেয়া হয়েছে ঢাকার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়।
তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদ পলাতক ছিলেন। তখন থেকেই র্যাব বলে আসছিল যে মো. সাহেদ যাতে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারত যেতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের মালিক ও এমডিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রতারণার মামলায় এর আগে আরো ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। # সূত্র : বিবিসি