বিপ টেস্টে প্রয়োজনীয় পয়েন্ট নিয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারলেও অবশেষে মন গলেছে বিসিবির। শেষপর্যন্ত অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দেয়া হয়েছে ‘ছাড়’। ১১-র কাছাকাছি নম্বর তুলেই তারা পেয়েছেন এনসিএলের ‘ছাড়পত্র’। যে কারণে স্বস্তির হাঁসি ফুটে উঠল আশরাফুল, রাজ্জাক, নাসিরদের মুখে।
বিপ টেস্টে উত্তীর্ণ হয়ে জাতীয় লিগে খেলার নিয়ম ছিল গত মৌসুমেও। তবে সেবার খেলোয়াড়রা সহজে উতরে যেতে পারলেও এবার প্রথম দফায় আটকে গিয়েছিলেন অনেকে। কারণ, আগেরবার কাঙ্ক্ষিত নম্বর ৯ থাকলেও এবার যে ১১!
যে কারণে বিপ টেস্টে প্রথম দফায় উতরাতে না পারায় রোববার (৬ অক্টোবর) দ্বিতীয় দফায় বিপ টেস্ট করান বাদ পড়া ক্রিকেটাররা। তবে তাতেও উতরে যেতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল, আব্দুর রাজ্জাক, তুষার ইমরান কিংবা নাসির হোসেনের মত অনেকেই।
বর্তমানে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের বিষয়টি বেশ ভাবাচ্ছে বিসিবিকে। তাই এবার বেঁধে দেওয়া হয়েছিল- বিপ টেস্টে ১১ নম্বর তুলতে না পারলে খেলা যাবে না এনসিএলে। কঠোর পরিশ্রম করে ১১ নম্বরের জন্য খেলোয়াড়রা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। প্রথম দফায় অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই অবশ্য ১১ নম্বর তুলতে পারেননি।
সেক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের দাবি ছিল- বয়সভেদে বিপ টেস্টে কাঙ্ক্ষিত নম্বর অর্জন কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবুও বেশ চেষ্টা করেছে বাদ পড়ারা। ক্রিকেটারদের এ চেষ্টাই আপাতত সন্তুষ্ট করেছে বোর্ডকে। তাই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা রোববারের বিপ টেস্টে অংশ নেয়া ৩৫ ক্রিকেটারকেই এনসিএলে খেলার সুযোগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও ‘বিশেষ বিবেচনায়’ পাওয়া এই সুযোগে আগামী মৌসুমগুলোতে ক্রিকেটারদের মধ্যে ‘ঢিলেমি’ চলে আসবে কি না, সেই প্রশ্নও থাকছে।
বিপ টেস্ট নিয়ে কিছু ক্রিকেটারের মধ্যে অসন্তোষও ছিল। অনেকে একে আখ্যায়িত করছিলেন ‘সিনিয়র ছাঁটাইয়ের পদ্ধতি’ হিসেবে। এ নিয়ে কানাঘুষাও কম হয়নি, হয়েছে খবরের পর খবরও। শেষপর্যন্ত বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১১-র কাছাকাছি নম্বর তুলতে পারা সবাইকেই দেয়া হবে এনসিএলে খেলার সুযোগ।
অবশ্য অভিজ্ঞতা, পারফরম্যান্স কিংবা বয়স নামক ‘বিশেষ বিবেচনায়’ যারা উত্তীর্ণ, তারাও গত বেশ কিছুদিন খেটেছেন কাঙ্ক্ষিত নম্বরের লক্ষ্যে। তাদের এই পরিশ্রম অবশ্য দেশের ক্রিকেটের জন্যই আশীর্বাদ! তাই স্বস্তির হাঁসি হেঁসে বিজয় চিহ্ন দেখাতেই পারেন আশরাফুল-নাসির-রাজ্জাকরা!