দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের( দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত বলেন, ‘দুর্নীতি চিহ্নিত করা, তা রোধ করা এবং চিহ্নিত দুর্নীতি পরায়ণদের আইনে সোপর্দ করার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যই দুদক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অনিয়ম ও সরকারি অর্থের অপচয় রোধে কাজ করছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট একাডেমী (ফিমা) মিলনায়তনে দুদক কর্মকর্তাদের এক বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফিমার মহাপরিচালক মনোয়ারা হাবীবের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ জাকির হোসেন ।
দুদক সচিব বলেন, বিদেশেও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি , কর্মকর্তাদের তদন্তের সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণেই দুদকের মামলায় সাজার হার প্রায় ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে । যা এক সময় ৩০ শতাংশেরও কম ছিল।
তিনি আরো বলেন, দুদক ও সিএজি নিজ নিজ ম্যান্ডেটের মাধ্যমেই দেশের দুর্নীতি, অনিয়ম ও সরকারি অর্থের অপচয় রোধে কাজ করছে। এজাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি, অনিয়ম ও অনৈতিকতা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
দুদক সচিব বলেন, পরস্পর যোগসাজশে যখন দুর্নীতির কোনো ঘটনা ঘটে তার সঠিক তথ্য পাওয়া কমিশনের পক্ষে সত্যিই কঠিন। এক্ষেত্রে অডিট বিভাগ দুদককে সাহায্য করতে পারে। এ জাতীয় তথ্য পেলে অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলা দায়েরের অনুপাতের ইতিবাচক বৃদ্ধি ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, শুধু অডিট বিভাগ নয়, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব স্ব-স্ব শুদ্ধাচার ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিজ নিজ দপ্তরের দুর্নীতির তথ্য দুদকে পাঠানো। তাহলেই দুদক আরো বস্তুনিষ্ঠ অভিযোগ পেতে পারে। # কাশেম