দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে স্টেশনের কাউন্টার এবং অনলাইন থেকে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। তবে অনলাইনে ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির শুরুতেই ভোগান্তিতে পড়েছেন টিকিট প্রত্যাশীরা যাত্রীরা।
শুরুতেই ওয়েবসাইট অকার্যকর ছিল। এরপর ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে ওয়েবসাইট স্বাভাবিক হলে দেখা যায় টিকিট নেই। অথচ রেলপথ মন্ত্রীর ঘোষনায় উল্লেখ রয়েছে, ২৩ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৭ এপ্রিলের টিকিট, ২৪ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট, ২৫ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ এপ্রিল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট এবং ২৭ এপ্রিল দেওয়া হবে ১ মের টিকিট।
এদিকে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর পাঁচটি স্টেশনে (কমলাপুর, ফুলবাড়িয়া পুরান রেল স্টেশন, তেজগাঁও , ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর) অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ঘোষণা ছিল। টিকেট বিক্রি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেটিং ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কাটা যাচ্ছিল না।
এক ঘণ্টা পর ওয়েবসাইট স্বাভাবিক হলেও অনেক যাত্রী টিকিট পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, সকালে ই-টিকেটিং ওয়েবসাইটের সার্ভার বন্ধ ছিল।
ওয়েবসাইটে একটি বার্তা লিখে ধৈর্য ধরতে বলেছিলেন কর্তৃপক্ষ। এরপর ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে ওয়েবসাইট স্বাভাবিক হলে দেখা যায় টিকিট নেই।
গত ১৩ এপ্রিল রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৩ এপ্রিল থেকে ট্র্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এই টিকিট বিক্রি চলবে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। ২৭ এপ্রিল থেকেই ট্রেন যাত্রা শুরু করবে। চলবে আগামী ১ মে পর্যন্ত।
রেলমন্ত্রী জানান, ২৩ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৭ এপ্রিলের টিকিট, ২৪ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট, ২৫ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ এপ্রিল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট এবং ২৭ এপ্রিল দেওয়া হবে ১ মের টিকিট।
রেলওয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকে ঈদ যাত্রার ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে এবং বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে বিক্রি করার কথা। তবে অনলাইন প্রক্রিয়া থেমে ছিল সকাল থেকে।
টিকিট কেনার জন্য সকাল ৮টার পর একসঙ্গে অনেক মানুষ ওয়েবসাইটে ঢুকলে সার্ভারে সমস্যা হয়। ওয়েবসাইটে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ইংরেজিতে তিনটি বাক্য লেখা ছিল, যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘আপনি আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান। মানসম্পন্ন পরিষেবা নিশ্চিত করতে আমরা আপনাকে লাইনে রাখছি। ধৈর্য ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
রেলের নিয়মিত যাত্রীদের একটা ফেসবুক পেজ ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিবার’। এই পেজে রেলের টিকিট সংক্রান্ত বিষয়গুলো স্টাটাস দিয়েছেন অনেকেই। শাহরিয়ার কবির নীরব নামে এক যাত্রী লেখেন, ‘ঈদের টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই দুর্নীতি। নামমাত্র ই-টিকেটিং সার্ভিসে যাত্রীদেরকে হেনস্তা করা হয়েছে। সকাল ৮টায় টিকিট ছাড়ার কথা থাকলেও ৮টা ৪৫ মিনিটে ই-টিকেটিং অনলাইন সার্ভিসে লগইন হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে টিকিট অ্যাভেলেবল-০০!’
জি এম আজা হোসাইন এক টিকিটপ্রত্যাশী লিখেছেন, ‘এরা দেশের মাটি বিক্রি করে দিক আমরা অন্য কোনো দেশে চলে যাই!! সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করছি! ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায় না! শুধু লেখা আসে ‘ইউ আর ভেরি ভ্যালুয়েবল টু আস’।
এক ঘণ্টার চেষ্টায় যখন ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারলাম তখন দেখি টিকিট শেষ! ২৭ তারিখের ঢাকা-খুলনার কোনো টিকিট আর নাই!! যেখানে ওয়েবসাইটে ঢোকা যায় না সেখানে টিকিট শেষ হয়ে যায় কীভাবে?’