দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, করোনাকালে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচায় প্লাটফর্ম আরো নিরাপদ করা হয়েছে। অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচায় গ্রাহকরা প্রতারিত হবে না।
আজ রোববার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় জুম প্লাটফর্মে ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল গরু হাট ২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গ্রাহক অনলাইনে গরু পছন্দের পর যে টাকা জমা দেন, ওই টাকা গরু হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা থাকবে। গ্রাহক গরু বুঝে পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংককে জানালে টাকা ছাড় হবে।
তিনি বলেন, অনেক সময় অনলাইনে গ্রাহক গরু কেনেন একরকম, কিন্তু ডেলিভারির পর দেখেন গরু অন্যরকম বা অসুস্থ। এমন সমস্যা দূর করতে এই পদ্ধতি নেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্বিক সহযোগিতা করবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এবার অনলাইন হাটে এক লাখ গরু বেচাকেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশন, নারায়ণগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকার লোকজন অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে গরু কিনতে পারবেন। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে গরু কিনতে কেউ হাটে ভিড় করবেন না। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও কম থাকবে।
তিনি বলেন, এবার ডিএনসিসির ব্যবস্থাপনায় এক হাজার গরু কোরবানি দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা ডিএনসিসির মাধ্যমে কোরবানি দিতে চান তাদের ১০ জুলাইয়ের মধ্যে অ্যাপসের মাধ্যমে বুকিং দিতে হবে। কোরবানির দিন পশু কোরবানি করে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে পশুর মাংস বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার প্রমখ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন ডিজিটাল কোরবানি হাট ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসির সঙ্গে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ, সংরক্ষণ, নিরাপত্তা প্রদান, পর্যাপ্ত পানি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও পশুস্বাস্থ্য পরীক্ষায় পশুচিকিৎসক নিয়োগ বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হবে।
ডিএনসিসি, ই-ক্যাব, বিডিএফএর যৌথ ব্যবস্থাপনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআইয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল পশুর হাট বসবে। ওয়েবসাইট ঠিকানা।
কোরবানিকে সামনে রেখে এ বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে এক লাখ গরু কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গত বছর তিন সপ্তাহে ২৭ হাজার গরু বেচাকেনা হয়েছে। এবার আমাদের টার্গেট কমপক্ষে এক লাখ গরু ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে বিক্রি করা। এটা যদি করতে পারি তাহলে প্রায় ৫ লাখ মানুষ গরুর হাটে যাবে না। এতে সংক্রমণের হার কমাতে পারবো।’
#