সর্বশেষঃ
১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা   সেনাবাহিনী নেপালের  নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে  নেপালে আটকে পড়ছে বাংলাদেশি খেলোয়াড়সহ পর্যটকরা  ডাকসুর নির্বাচনে শিবিরের  ভিপি ১২১০৬ ভোট ,ছাত্র দলের ভিপি ৪৯১৫ ভোট এবার ডাকসুর ভোট গণনায় ১৪ মেশিন উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৮টায় ডাকসুর ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে ডিএনসিসিতে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের দোয়া অনুষ্ঠান ৩০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন, আইএমএফ থেকে এক-দেড় বিলিয়ন আনতেই জান বের হয় এবার শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েমের উপর সাইবার অ্যাটাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সাইবার অ্যাটাক নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন

১৩ অগাস্ট বাবার সাথে সাক্ষাৎ করতে বাসায় আসেন জিয়া: মেয়র তাপস

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বাবা শেখ ফজলুল হক মনির সাথে সাক্ষাতের ছলে ১৯৭৫ সালের ১৩ অগাস্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের রেকি করতে এসেছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার (১৮ অগাস্ট) সন্ধ্যায় জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ কর্তৃক ‘জাতীয় শোক দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৩ অগাস্ট জিয়াউর রহমান আমাদের বাসায় এসেছিল। সেদিন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি বাবার সাথে দেখা করে গেছেন। সেদিন জিয়াউর রহমানের আমাদের বাসায় আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল — এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনও তথ্য আছে কিনা — তা জানার অনুমান করা। আমরা কোনও কিছু জানি নাকি? বাসার পরিস্থিতি কি, আশেপাশের অবস্থা কি? এসব রেকি করার জন্যই সেদিন জিয়া নিজেই স্বশরীরে আমাদের বাসায় এসেছিল।”

বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.আবু নাছের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান । বিজ্ঞপ্তিতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নেপথ্য থেকে শুধু হত্যাকাণ্ড ঘটানোয় নয়, খুনিদের রক্ষা করাও জিয়াউর রহমানের মূল ভূমিকা ছিল উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “জিয়া রহমানের মূল কার্যক্রমই ছিল নেপথ্য থেকে এই হত্যাকাণ্ড সামাল দেওয়া। সেই খুনিদেরকে বাঁচানো। কেউ যেন সেই খুনিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিতে পারে এবং তাদের যে মূল উদ্দেশ্য, তা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় সেটা নিশ্চিত করা। সেটাই তিনি সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন।”

১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ড পরবর্তী কর্মকাণ্ড ও তৎপরতা জিয়াউর রহমানের অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত থাকাকে প্রমাণ করে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “১৫ হত্যাকাণ্ডের পরে যারা এই হত্যাকাণ্ডকে বাধা দিতে চেয়েছিল, প্রতিঘাত করতে চেয়েছিল, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিল — কর্নেল নুরুদ্দীন ও শাফায়াত জামিলকে আটক করে কর্নেল রশিদ ওইদিন জিয়াউর রহমানের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। খুনের পরবর্তী ঘটনা আরও প্রমাণ করে যে, জিয়াউর রহমান তাদের আস্থার জায়গা ছিল। সাধারণ মানুষের কিংবা সেনাবাহিনীর মধ্যকার যে কোনও ধরনের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করার যে কোনও প্রচেষ্টা সেদিন জিয়াউর রহমান সামাল দিয়েছিল। সুতারাং এসব তথ্য-উপাত্ত প্রমাণ করে যে ১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ডে জিয়া ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিল।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আজও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই মুক্তিযুদ্ধর বিরোধী শক্তি — জামায়াত-বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে সবাইকে শপথ নিতে হবে।”

ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিচার করার যে বক্তব্য বিএনপি মহাসচিব রাখছেন তার জবাবে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “অপকর্মের জন্য আপনাদের নেতা তারেক জিয়ার বিচার হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও রাজাকারদের বিচার করেছে। তেমনি আপনাদের সকল অন্যায়েরও বিচার হবে।”

আগামী নির্বাচনে আসবেনা বলে বিএনপির হুশিয়ারি জবাবে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “নির্বাচনে অংশ না নিয়ে হরতাল, জ্বালাও পোড়াও আর করতে দেওয়া হবেনা। প্রয়োজনে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাহায্য করবে।”

অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ অগাস্ট কাল রাতে শাহাদাতবরণকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদ উল্লাহ মিনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহম্মেদ মন্নাফী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মো. শাহিদ, সাজেদা বেগম, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম, কার্য নির্বাহী সদস্য ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুরসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্তর্গত বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। # কাশেম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12