নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতি দমন কমিশরনর কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেছেন, দেশে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবার সহযোগিতা লাগবে। সবার মধ্যে নীতিবোধ জাগ্রত করতে হবে। ব্যক্তিগত লোভ-লালসা পরিহার করতে হবে, অন্যকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তিনি বলেন, সরকারি সকল অফিসের কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। একই সাৎেত এই কমিশনের কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ পেলে তাদেরকেও ছাড় দেন না।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর ) দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয় আয়োজিত বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ১৯০তম গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দ্যেশে বলেন, দুদকের বর্তমান ড. মোমেন কমিশন প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত এবং স্বচ্ছ রাখবেন।
দুদক উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো আক্তার হোসেন বলেন, সমাজকে স্বচ্ছতার মধ্যে আনতে নিরন্তর প্রচেষ্টার পরও আমরা সমাজকে স্বচ্ছতা, জবাব দিহিতার আনতে পারিনি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সরকারি সেবা প্রাপ্তি এ গণশুনানির মুল লক্ষ্য। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘুসদাতা ঘুসগ্রহিতার চেয়ে বেশি অপরাধী। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ আপনার নিষ্পাপ শিশুদের খাওয়াবেন না।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন এবং দুদকের বিভাগীয় কার্যালয় রংপুরের পরিচালক মোহাং নুরুল হুদা বক্তৃতা করেন।
গণশুনানিতে ৪৪টি সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে পৌনে দুই’শ অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে দুদকের তফসিলভুক্ত ১২৮টি অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ০৪টি অভিযোগের বিষয়ে দুদকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়।ঘুস-দুর্নীতির অভিযোগে ০২ জন কর্মকর্তাকে বদলী এবং একজনের বিরুদ্ধ বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশ এবং ০৪ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাকী অভিযোগগুলোর তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়া হয়।
#