সর্বশেষঃ
২৫ পদের মধ্যে ২০ পদে ছাত্রশিবিরের সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট বিজয়ী ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা   সেনাবাহিনী নেপালের  নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে  নেপালে আটকে পড়ছে বাংলাদেশি খেলোয়াড়সহ পর্যটকরা  ডাকসুর নির্বাচনে শিবিরের  ভিপি ১২১০৬ ভোট ,ছাত্র দলের ভিপি ৪৯১৫ ভোট এবার ডাকসুর ভোট গণনায় ১৪ মেশিন উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৮টায় ডাকসুর ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে ডিএনসিসিতে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের দোয়া অনুষ্ঠান ৩০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন, আইএমএফ থেকে এক-দেড় বিলিয়ন আনতেই জান বের হয় এবার শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েমের উপর সাইবার অ্যাটাক
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন

রংপুরের খামারীরা জুনোটিক রোগে গরুর মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ পেলেন ২২ লাখ টাকা

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক
বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো জুনোটিক রোগে মৃত গরুর জন্য রংপুর জেলার ৩২ জন ক্ষতিগ্রস্ত খামারীরা ২১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ পেলেন।
সোমবার সকালে রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় খামারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। খামারীদের নামে চেকের মাধ্যমে এ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

রংপুর বিভাগীয় প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ইসমাইল হকের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা: শেখ আজিজুর রহমান। প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: শরীফুল ইসলাম ও ডা: সিরাজুল ইসলাম। খামারী ফাতেমা বেগম ও আল মামুন। অনুষ্ঠানে মূল্য বক্তব্য তুলে ধরেন ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদারকরণ প্রকল্পের’ প্রকল্প পরিচালক ডা: মো: আজিজুল ইসলাম।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা: শেখ আজিজুর রহমান বলেন, গরু ও মহিষ প্রধানত চারটি রোগে আক্রান্ত হয়। এগুলো হচ্ছে টিবি, ব্রæসেলোসিস,অ্যানথ্রাক্স ও জলাতঙ্ক। এ ভাইরাসগুলো গাভীর মাধ্যমে বেশি ছাড়ায়। এসব রোগে আক্রান্ত গরু বা মহিষের মাংস মানুষ খেলে মানুষের মধ্যে এ রোগ ্রæত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এ প্রকল্পের মাধ্যমে এ চারটি জটিল রোগ সম্পর্কে খামারীরে সচেতন করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক ডা: মো: আজিজুল ইসলাম বলেন, মহামরি করোনাকালে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ্ সার্ভিস জোরদারকরণ প্রকল্পের কার্যক্রম দেশের ২৮টি জেলার ২০১টি উপজেলায় চলমান।

প্রকল্পের আওতায় জুনোটিক রোগে মৃত বা আক্রান্ত (কালিং সাপেক্ষে) গরু ও মহিষের খামারী পর্যায়ে ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ অপসারণে (পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা) কাজ করছে। গৃহপালিত প্রাণির ও প্রাণিজাত খাদ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরুপণের লক্ষ্যে ভেটেরিনারি পাবলিক হেল্থ ল্যাবের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ চারটি জুনোটিক রোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম তরান্বিত করা হচ্ছে এবং জুনোটিক রোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম চলছে। চারটি জুনোটিক রোগ বোভাইন টিবি, ব্রæসেলোসিস,অ্যানথ্রাক্স ও জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত গরু-মহিষের ক্ষেত্রে বড় গরু বা মহিষের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮০ হাজার এবং এক বছর বয়সী বাছুর গরুর জন্য ৪০ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলেন, প্রকল্পভুক্ত উপজেলা হতে আক্রান্ত গরু-মহিষের নমুনা প্রেরণ কেন্দ্রীয় প্রাণিরোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার (সিডিআইএল) এবং ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ অনুবিভাগ ঢাকা হতে চুড়ান্ত ল্যাব পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফল প্রাপ্তি সাপেক্ষে খামারীকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য. এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা অঞ্চলের ২৭ জন খামারীর হাতে ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১টি উপজেলায় ২০২৩ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12