সর্বশেষঃ
সেবাগ্রহীতাদের সমস্যার সমাধান তাড়াতাড়ি করতে হবে : দুদক চেয়ারম্যান আজ ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলায় হাসিনাসহ ৩জনের বিরুদ্ধে রায়ের দিন  নির্ধারণ !  ৭ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ঘোষণায় ২৫ রাজনৈতিক দলের জুলাই সনদে স্বাক্ষর নতুন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দলিল জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ২৫ দলের ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষরে অংশ নেয়ার আহ্বান ড.ইউনূসের ছাত্র শিবির  বিজয়ী রাকসুতে ২৩টিতে- ২০, ডাকসুতে ২৮ টিতে- ২৩ , জাকসুতে ২৫টিতে – ২০, চাকসুতে ২৬টিতে – ২৪,  রাকসুতে ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস সাবেক সমন্বয়ক আম্মার আজ রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদে সকাল ৯ টায় ভোট গ্রহণ শুরু লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টারে সংঘর্ষ,যুবদলের দুই গ্রুপে ২০ জন আহত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ দুর্নীতি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা মির্জা ফখরুলের
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন

মধুমাসে বিষাক্ত ফলে বাজার সয়লাব, জড়িতদের শাস্তির দাবি মানবাধিকার সংগঠনের

দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
ভরামৌসুমেও বিষাক্ত ফলে বাজার সয়লাব। বাগান থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত খাদ্যে যারা ফরমালিন ও বিষ যুক্ত করে তাদের কঠোর আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন একাধিক সংগঠনের নেতারা। মৌসুমি ফলের উৎপাদন, বিপণন, বাজারজাত করণ ও সংরক্ষণে ব্যাপকভাবে বিষ ও ভেজালের মিশ্রণ করা হচ্ছে।

সারাদেশে চাহিদা বেশি থাকায় তাড়াতাড়ি ফল বাজারজাত করতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল মেশানোর প্রতিযোগিতায় রয়েছেন। এমতা অবস্থায় জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় বিষ ও ভেজালমুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত মৌসুমি ফল নিশ্চিত করা জরুরি।

শনিবার (৪ জুন) সকাল ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি তুলে ধরেন পরিবেশ সংশ্লিষ্ট প্রায় ১৫টি সংগঠন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, পরিবেশ আন্দোলন মে র সভাপতি আমির হাসান মাসুদ , মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য মাহবুবুল হক ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভরাফলের মৌসুম গ্রীষ্মকাল। এ সময়ও বাজারে কেনো বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশ্রত ফল । বাজারে এসেছে মধুমাসের আম, লিচু, জাম, আনারস ও কাঁঠালসহ বিভিন্ন সুস্বাদু ফল। তবে বর্তমানে নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত মৌসুমি ফল পাওয়া নিয়ে জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিরাপদ খাদ্য ও ফল নাগরিকদের জন্য নিশ্চিত করা। কিন্তু দেখা যায় আমবাগান থেকেই বিষ মেশানো শুরু হয়। ফলে পরিপক্ক হওয়ার আগেই আম বাজারে চলে আসছে। মানুষকে হত্যা করলে যদি মত্যুদন্ড দেওয়া হয়, তাহলে বিষ খাইয়ে যারা মানুষকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলছে তাদেরও মৃত্যুদন্ড দেওয়া উচিত।

মানববন্ধনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন বক্তারা। এরমধ্যে ১) উৎপাদন পর্যায় থেকে খাদ্যগ্রহণ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে খাদ্যের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া গ্রহণ করা।২) বর্তমানে খাদ্যে বিষ বা ভেজালের সঠিক চিত্র নিরুপণে ল্রাবরেটরীতে পরীক্ষা করা।

৩) খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি মেশানোর সঙ্গে জড়িত ও রাসায়নিক দ্রব্যাদিযুক্ত খাদ্য বিক্রয়কারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দন্ড যথেষ্ট নয়, তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর ২৫-গ ধারা প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই ধারায় খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার জন্য কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ বা ভেজাল খাবার বিক্রয়ের জন্য মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।

৪) ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদ কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। আইনের আওতায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের বাস্তব কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। আইনটি বাস্তবায়নে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা। ৫) ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৫ দ্রæত বাস্তবায়ন করা।

৬) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।৭) ভেজালবিরোধী টিম কর্তৃক নিয়মিত খেজুরসহ অন্যান্য ফল, মুড়ি, সেমাই ও রঙমিশ্রিত খাবার নেইত্যাদি পরীক্ষা করা এবং খাদ্য মজুদকারী সব গুদাম,কারখানা বা মোকাম পরিদর্শন করা।৮) পণ্য আমদানি পর্যায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ফরমালিনসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যাদি পরীক্ষা করা এবং এ কাজে এনবিআরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

৯) সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থের আমদানিকারক ও ব্যবহারকারী এবং লেবেল ছাড়া বা মিথ্যা লেবেলের অধীন কীটনাশক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ১০) গণমাধ্যমে গ্রচার প্রচারণার মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের ফরমালিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যাদির বিষয়ে সচেতন করা।

১১) সময়োপযোগী কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা। ১২) খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং পরিদর্শন ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনায় সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় করা। ১৩) স্টকহোম কনভেনশনে সই করা দেশ হিসেবে ডাইক্লোরো ডাইফেনাইল ট্রাইক্লোরো ইথেন (ডিডিটি) ও হেপ্টাক্লোরের মতো কীটনাশকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে কার্যক্রম গ্রহণ করা। #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12