দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বিদেশে পালিয়ে থাকা পি কে (প্রশান্ত কুমার) হালদারের বিরুদ্ধে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে। আর ওইসব অভিযোগে পিকে হালদারকে গ্রেফতারি পরোয়ানা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের কাছে পাঠিয়েছে দুদক।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পি কে হালদারকে ফেরানোর বিষয়ে রুল জারির পর তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের বিষয়ে আমার কাছে আরও কিছু তথ্য এসেছে। তথ্যে জানতে পেরেছি, তিনি অবিবাহিত। এর সুবাদে পাচারের কোটি কোটি টাকা পি কে হালদার তার কিছু গার্লফ্রেন্ডের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন। এর সংখ্যা ৭০ থেকে ৮০ জন হতে পারে। এগুলো দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাকে দেব অনুসন্ধানের জন্য।
১৮ নভেম্বর একটি দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
ওই আদেশ অনুসারে ২ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। এরপর ৯ ডিসেম্বর পিকে হালদারের কাজিন পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক অমিতাভ অধিকারী ও পিকে হালদারের সাবেক সহকর্মী এবং পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দীকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয়।
একই সঙ্গে, পি কে হালদারের গ্রেফতারি পরোয়ানা ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো এবং তার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে ৩ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত কুমার হালদার, ব্যাংক পাড়ায় পিকে হালদার নামে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা রয়েছেন। মাঝে একবার টাকা ফেরতের শর্তে দেশে ফিরতে চাইলেও দেশে ফিরলে গ্রেফতার হতে হবে হাইকোর্টের এমন আদেশের পর অসুস্থতার কথা বলে আর ফেরেননি তিনি।
জানা গেছে, কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি করে রাজকীয় জীবন যাপন করছেন তিনি।#