সর্বশেষঃ
প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতায় প্রস্তুত সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মাইলস্টোন স্কুলের তিন শিক্ষক মানবতা-সাহসিকতার জন্য জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন গণ দাবি: চরমোনাই পীর এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসেব চেয়েছে দুদক আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন “ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন” বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইইউ’র ৪ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ডাকসু নির্বাচনে ফরম সংগ্রহের সময় মব সৃষ্টি করে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদলের বরখাস্ত হলেন এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তা
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসেব চেয়েছে দুদক

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক
আইনের মারপ্যাচে বড় বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার লোকজনের কাছ থেকে অবৈধভাবে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে কোটিপতি হবার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এনবিআর’রে চাকরির সুবাধে রাতারাতি বাড়ি.গাড়ি. ফ্ল্যাট,প্লট,জমি ও ব্যাংক ব্যালেন্সের মাধ্যমে কোটি পতি হয়েছেন অনেকেই। এনবিআর’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মোটা অংকের ঘুষ ও অবৈধ সুবিধা নেয়ার মাধ্যমে সরকারের শত শত কোটি টাকার ভ্যাট,ট্যাক্স ও আয়কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে বড় বড় কর দাতাদের। এসব সুনিদিষ্ট অভিযোগ পাবার পরই এনবিআর’র কর্মকর্তাদের মধ্যে অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর ও অস্তাবর সম্পদের মালিকদের তালিকা অনুযায়ী দফায় দফায় সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ পাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এনবিআর’র আলোচিত ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে পাঠানো হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তদেরকে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছক মোতাবেক সম্পদের বিবরণী দুদকের দাখিল করতে বলা হবে।

দুদক মহাপরিচালক জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর ১৭ নং বিধির আলোকে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এখন তাদের কাছ থেকে সম্পদের বিবরণ অফিসিয়ালি চাওয়া হয়েছে। তাদের দাখিল করা সম্পদের বিবরনী যাচাই বাছাই শেষে অনুস্ন্ধানী কর্মকর্তা সুপারিশসহ প্রতিবেদন কমিশনে উপস্থাপন করবেন।

দুদকের নোটিশ প্রাপ্ত এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন;- এনবিআর’র সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া।

এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক।

দুদক ডিজি আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই ৫ জন এবং গত ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক।

দুদক সূত্রে জানা যায়, কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এক্ষেত্রে, প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ‘কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন। অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে এই কর হিসাবনিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়— করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরও অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে গিয়ে নিজেরাও কামিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করা হয়। মে মাসে প্রায় ১৪ দিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে সরকারের আশ্বাসে বাজেট পেশ হওয়ার আগে কর্মসূচি প্রত্যাহার হয়। ফের একই দাবিতে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে কর্মসূচি পালন করা হয়। গত ২৯ জুন ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12